বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১১ পূর্বাহ্ন

ভালুকায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার ৩ আসামী গ্রেফতার

আবুল বাশার শেখ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: ভালুকায় ফেসবুক কমেন্ট নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কলেজছাত্র সাঈম খান (১৮) খুন হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

সোমবার (৫ জুলাই) রাতে নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, আমানউল্লাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), হাবিবুল্লাহর ছেলে সোহাগ (১৬) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সারোয়ার (২০)।

থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল টেকিং এর মাধ্যমে কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার তিন আসামীকে সোহাগের ভগ্নিপতি নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত শনিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মেহেরাবাড়ি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মিরাজ (১৫) একই গ্রামের আমান উল্ল্যাহ পাঠানের ছেলে সাব্বির (১৭), হাবিবুল্ল্যাহর ছেলে সোহাগ (১৬) ও সোলমানের ছেলে মনিরকে (২৪) জড়িয়ে ফেসবুকে নেশাখুর মন্তব্য করে একটি স্ট্যাটাস দেন। এরই জের হিসেবে রোববার সন্ধ্যায় মিরাজের বিচার করার জন্য মনির মোবাইল ফোনে নিহত সাঈম খানসহ ৭/৮ জনকে ডেকে আনেন। এ সময় দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে সাঈম খান ও মিরাজ আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মাঝে সাঈম খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার সকালে সাঈম মারা যান। এ ঘটনায় নিহত সাঈমের বাবা নাজিম উদ্দিন বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন আসামীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। তাছাড়া অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com